প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগে ওরিয়েন্টেশন ।
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির দামপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিএসসি ইন সিএসই ৪৭তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ জুন ২০২৫, রবিবার, সকাল ১০.৩০টায় অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক এস. এম. নছরুল কদির। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্যামসাং আর এন্ড ডি ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের প্রিন্সিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ার ও অ্যাসোসিয়েট সফটওয়্যার আর্কিটেক্ট জনাব মুহাম্মদ দিদারুল আলম চৌধুরী, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি সিএসই বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ব্যাংকের জয়েন্ট ডিরেক্টর (আইসিটি) জনাব রিচার্ড বিশ্বাস। বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সাহীদ মো. আসিফ ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক এস. এম. নছরুল কদির বলেন, প্রযুক্তির পরিবর্তন ঘটে দ্রুত ও ধারাবাহিকভাবে। এর প্রভাব পড়ে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায়ও। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্স কারিকুলাম, এক্সট্রা-কারিকুলার ও কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিস সবকিছুতেই এই পরিবর্তনের ছাপ স্পষ্ট। বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের শুরুতেই নবীন শিক্ষার্থীরা ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে এই পরিবর্তনের সঙ্গে পরিচিত হতে শুরু করে এবং পায় প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা, যা আমাদের উচ্চশিক্ষার যাত্রাকে সুসংগঠিত করে তোলে।
তিনি আরও বলেন, মানুষের ইচ্ছার সীমা নেই। এই ইচ্ছা পূরণের পথে থাকে নানা সীমাবদ্ধতা। বাস্তবতা, সম্পদের অভাব, সময়ের সঙ্কট এবং পরিবেশের বাধা—এইসব এখানে উল্লেখযোগ্য। এই সীমাবদ্ধতাগুলোর মধ্য দিয়েই মানুষ এগিয়ে যায়, সম্ভাবনার দ্বার খুঁজে নেয়, স্বপ্ন পূরণ করে। প্রধান অতিথি ইথিক্যাল বিহ্যাভিয়ার নিয়েও কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণ নয়, তাদেরকে এটাও শেখানো যে, প্রয়োজন, বাস্তবতা এবং মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এগিয়ে চলতে জানতে হয়। তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বাস করে—একজন শিক্ষার্থীর উন্নয়ন শুধু পেশাগত দক্ষতায় নয়, বরং নৈতিকতা, নেতৃত্ব ও সামাজিক দায়বদ্ধতার মাধ্যমেও সম্ভব।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনাব মুহাম্মদ দিদারুল আলম চৌধুরী স্যামসাং আর এন্ড ডি ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে তাঁর দীর্ঘ চাকরিজীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং প্রোগ্রামিং-এর মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে ভালোভাবে পড়াশুনা করতে হবে, বহির্জগত সম্পর্কে জানতে হবে, নতুন নতুন টেকনোলজি সম্পর্কে অবগত হতে হবে। তাহলে ভবিষ্যতে ভালো ক্যারিয়ার গঠন সম্ভব হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনাব রিচার্ড বিশ্বাস বলেন, আজকের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামটির অর্থ শিক্ষাজীবন নতুনভাবে শুরু করা নয়। এটা একটা নতুন দিগন্তের পথে যাত্রা। প্রকৌশল বিজ্ঞান অধ্যয়নের মাধ্যমে তোমরা এমনভাবে তৈরি হবে, যেন প্রযুক্তিগতভাবে বাংলাদেশ ও বিশ্বের কল্যাণে ভূমিকা রাখতে পার। অ্যালামনাই হিসেবে আমাদের সহযোগিতা তোমাদের জন্য অব্যাহত থাকবে।
সভাপতির বক্তব্যে বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সাহীদ মো. আসিফ ইকবাল বলেন, তোমরা যে যে ক্যাপাসিটিতে এই বিভাগে ভর্তি হও না কেন, এই বিভাগের সুযোগ-সুবিধাপ্রাপ্তির মানদণ্ড সকলের জন্য সমান। তোমরা ভালোভাবে অধ্যয়ন করলে অবশ্যই ভালো ফলাফল লাভ করতে পারবে।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব মিনহাজ হোসাইন।
ইভটিজিং ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধ বিষয়ে ইউনিভার্সিটির অভিযোগ কমিটির সদস্য ফারহানা শিরিণ চৌধুরী, কোড অব কন্ডাক্ট নিয়ে সহকারী প্রক্টর জনাব মোহাম্মদ হাসান, ইউনিভার্সিটি ও বিভাগের পরিচিতি নিয়ে প্রভাষক রওশন আক্তার বক্তব্য রাখেন।
বিভাগের প্রভাষক ইশতিয়াক আহমেদ সাজেদ ও অতন্দ্রিলা চক্রবর্ত্তীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Related News
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগে ওরিয়েন্টেশন ।
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগে ওরিয়েন্টেশন ।
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির দামপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিএসসি ইন সিএসই ৪৭তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ জুন ২০২৫, রবিবার, সকাল ১০.৩০টায় অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক এস. এম. নছরুল কদির। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্যামসাং আর এন্ড ডি ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের প্রিন্সিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ার ও অ্যাসোসিয়েট সফটওয়্যার আর্কিটেক্ট জনাব মুহাম্মদ দিদারুল আলম চৌধুরী, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি সিএসই বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ব্যাংকের জয়েন্ট ডিরেক্টর (আইসিটি) জনাব রিচার্ড বিশ্বাস। বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সাহীদ মো. আসিফ ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক এস. এম. নছরুল কদির বলেন, প্রযুক্তির পরিবর্তন ঘটে দ্রুত ও ধারাবাহিকভাবে। এর প্রভাব পড়ে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায়ও। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্স কারিকুলাম, এক্সট্রা-কারিকুলার ও কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিস সবকিছুতেই এই পরিবর্তনের ছাপ স্পষ্ট। বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের শুরুতেই নবীন শিক্ষার্থীরা ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে এই পরিবর্তনের সঙ্গে পরিচিত হতে শুরু করে এবং পায় প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা, যা আমাদের উচ্চশিক্ষার যাত্রাকে সুসংগঠিত করে তোলে।
তিনি আরও বলেন, মানুষের ইচ্ছার সীমা নেই। এই ইচ্ছা পূরণের পথে থাকে নানা সীমাবদ্ধতা। বাস্তবতা, সম্পদের অভাব, সময়ের সঙ্কট এবং পরিবেশের বাধা—এইসব এখানে উল্লেখযোগ্য। এই সীমাবদ্ধতাগুলোর মধ্য দিয়েই মানুষ এগিয়ে যায়, সম্ভাবনার দ্বার খুঁজে নেয়, স্বপ্ন পূরণ করে। প্রধান অতিথি ইথিক্যাল বিহ্যাভিয়ার নিয়েও কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণ নয়, তাদেরকে এটাও শেখানো যে, প্রয়োজন, বাস্তবতা এবং মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এগিয়ে চলতে জানতে হয়। তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বাস করে—একজন শিক্ষার্থীর উন্নয়ন শুধু পেশাগত দক্ষতায় নয়, বরং নৈতিকতা, নেতৃত্ব ও সামাজিক দায়বদ্ধতার মাধ্যমেও সম্ভব।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনাব মুহাম্মদ দিদারুল আলম চৌধুরী স্যামসাং আর এন্ড ডি ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে তাঁর দীর্ঘ চাকরিজীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং প্রোগ্রামিং-এর মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে ভালোভাবে পড়াশুনা করতে হবে, বহির্জগত সম্পর্কে জানতে হবে, নতুন নতুন টেকনোলজি সম্পর্কে অবগত হতে হবে। তাহলে ভবিষ্যতে ভালো ক্যারিয়ার গঠন সম্ভব হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনাব রিচার্ড বিশ্বাস বলেন, আজকের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামটির অর্থ শিক্ষাজীবন নতুনভাবে শুরু করা নয়। এটা একটা নতুন দিগন্তের পথে যাত্রা। প্রকৌশল বিজ্ঞান অধ্যয়নের মাধ্যমে তোমরা এমনভাবে তৈরি হবে, যেন প্রযুক্তিগতভাবে বাংলাদেশ ও বিশ্বের কল্যাণে ভূমিকা রাখতে পার। অ্যালামনাই হিসেবে আমাদের সহযোগিতা তোমাদের জন্য অব্যাহত থাকবে।
সভাপতির বক্তব্যে বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সাহীদ মো. আসিফ ইকবাল বলেন, তোমরা যে যে ক্যাপাসিটিতে এই বিভাগে ভর্তি হও না কেন, এই বিভাগের সুযোগ-সুবিধাপ্রাপ্তির মানদণ্ড সকলের জন্য সমান। তোমরা ভালোভাবে অধ্যয়ন করলে অবশ্যই ভালো ফলাফল লাভ করতে পারবে।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব মিনহাজ হোসাইন।
ইভটিজিং ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধ বিষয়ে ইউনিভার্সিটির অভিযোগ কমিটির সদস্য ফারহানা শিরিণ চৌধুরী, কোড অব কন্ডাক্ট নিয়ে সহকারী প্রক্টর জনাব মোহাম্মদ হাসান, ইউনিভার্সিটি ও বিভাগের পরিচিতি নিয়ে প্রভাষক রওশন আক্তার বক্তব্য রাখেন।
বিভাগের প্রভাষক ইশতিয়াক আহমেদ সাজেদ ও অতন্দ্রিলা চক্রবর্ত্তীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।